নবম শ্রেণির ভূগোল বিষয়ের প্রথম অধ্যায় হল গ্রহরুপে পৃথিবী। অধ্যায়টি বেশ বড় । তাই আমারা এখানে শুধু সংক্ষিপ্তসার দিয়েছি উল্লেখযোগ্য তথ্য সহকারে । এছাড়াও প্রস্নউত্তর ভিত্তিক, ক্যুইজ ভিত্তিক আলদা আলদা লিঙ্ক দিয়েছি ।
Class IX গ্রহরূপে পৃথিবী এর উল্লেখযোগ্য তথ্য সমুহ
এই অধ্যায়ে যা শিখবে তার সংক্ষিপ্তসার
পৃথিবীর আকৃতি:
- পৃথিবী পুরোপুরি গোল নয়, বরং অভিগত গোলক।
- অভিগত গোলক হলো এমন গোলক যার দুই মেরু সামান্য চাপা এবং মধ্যভাগ সামান্য স্ফীত।
- পৃথিবীর এই আকৃতিকে জিওড বলা হয়, যার অর্থ “পৃথিবীর মতো”।
সৌরজগৎ এর প্রাথমিক ধারনা
- সূর্য এবং এর চারপাশে ঘূর্ণায়মান গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণুপুঞ্জ ইত্যাদি মিলে সৌরজগৎ গঠিত।
- আয়তন অনুসারে সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতি এবং ক্ষুদ্রতম গ্রহ বুধ।
- সূর্য থেকে দূরে অবস্থিত বৃহৎ আকৃতির গ্রহগুলিকে (বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুন) বহিস্থ গ্রহ বলে
- বামন গ্রহ: কিছু মহাজাগতিক বস্তু সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে কিন্তু তাদের কক্ষপথের আশেপাশের ছোট ছোট বস্তুগুলিকে সরিয়ে দিতে পারে না। এদের বামন গ্রহ বলে। যেমন: প্লুটো।
- কুপার বেল্ট: নেপচুন গ্রহের কক্ষপথের বাইরে অবস্থিত একটি অঞ্চল যেখানে অসংখ্য মহাজাগতিক বস্তুকণা রয়েছে। এই বস্তুকণাগুলি দিয়েই আমাদের সৌরজগতের উৎপত্তি হয়েছে বলে মনে করা হয়।
পৃথিবীর আকৃতি যে গোলাকার তার প্রমান
- পৃথিবীর গোলাকার আকৃতির প্রমাণ নাবিকদের অভিজ্ঞতা, চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের উপর পড়া পৃথিবীর ছায়া, ধ্রুবতারার অবস্থান ইত্যাদি থেকে পাওয়া যায়।
- আধুনিককালে নভশ্চরদের প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ এবং মহাকাশ থেকে তোলা ছবি পৃথিবীর গোলাকার আকৃতির সবচেয়ে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ।
পৃথিবীতে জীবের বিকাশ:
- পৃথিবীতে বায়ুমণ্ডল, বারিমণ্ডল, শিলামণ্ডল এবং ভারসাম্য তাপমাত্রা থাকার কারণে জীবনের বিকাশ ঘটেছে।
- বায়ুমণ্ডলে প্রয়োজনীয় গ্যাস (নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড) এবং ওজোন স্তর থাকায় জীবন টিকে থাকা সম্ভব হয়েছে।
- জল জীবনের জন্য অপরিহার্য এবং পৃথিবীতে প্রচুর পরিমাণে জল রয়েছে।
দিগন্ত রেখা: সমুদ্রের ধারে বা কোনো ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে আকাশ ও ভূমি যেখানে মিশেছে বলে মনে হয় সেই রেখা।
GPS: কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে ভূপৃষ্ঠের কোনো স্থানের অবস্থান (অক্ষাংশ, দ্রাঘিমা, উচ্চতা) নির্ণয়ের প্রযুক্তি।
গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক সমুহ