নবম শ্রেণির প্রথম অধ্যায় জীবন ও তার বৈচিত্র্য । এই অধ্যায়ে তোমরা যা জানবে তার অতি সংক্ষিপ্ত পরিচয় করানো হয়েছে । অনুশীলন যেমন ক্যুইজ এর লিঙ্ক দেওয়া হয়েছে। তোমরা তাতে অংশ গ্রহন করতে পারো এবং দেখতে পারো তোমাদের পঠন পাঠন কেমন হয়েছে ।
প্রাণের আদি উৎস:
- বিজ্ঞানী হ্যাল্ডেন পৃথিবীর আদিম সমুদ্রের উষ্ণ জলকে “গরম তরল স্যুপ” বলে অভিহিত করেছেন। এই স্যুপে ছিল জলে দ্রবীভূত বিভিন্ন খনিজ লবণ ও জৈব যৌগ।
- এই “গরম তরল স্যুপ” থেকেই জীবনের উৎপত্তি হয়েছিল বলে মনে করা হয়।
জীবনের প্রথম ধাপ:
- সরল জৈব যৌগগুলি থেকে জটিল জৈব যৌগ তৈরি হয়েছিল। এই প্রক্রিয়াটিকে কেমোজেনি বলে।
- জটিল জৈব যৌগগুলি কোয়াসারভেট নামক দলা বা পিন্ডিতে পরিণত হয়েছিল।
- মাইক্রোস্ফিয়ার হলো অর্ধভেদ্য পর্দা দ্বারা বেষ্টিত স্ব-বিভাজনশীল প্রোটিনের একক গঠন। বিজ্ঞানী সিডনি ফক্স প্রথম মাইক্রোস্ফিয়ারের কথা বলেন।
- কোয়াসারভেট বা মাইক্রোস্ফিয়ারের সাথে নিউক্লিক অ্যাসিড যুক্ত হয়ে প্রোটোসেল বা আদি কোশ তৈরি হয়েছিল।
- নগ্ন জিন যুক্ত অবায়ুজীবী ব্যাকটেরিয়া হলো পৃথিবীর আদি কোশ।
জীবনের বৈশিষ্ট্য:
- জীবের দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো বৃদ্ধি ও জনন। এছাড়াও উত্তেজনায় সাড়া দেওয়া, চলন ও গমন করার ক্ষমতা, ও অভিযোজন ইত্যাদি ।
- প্রোটোপ্লাজম হলো জীবনের ভৌত ভিত্তি।
- উদ্দীপনায় সাড়া দেওয়া জীবের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।
পৃথিবীর সৃষ্টি:
- পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছিল প্রায় 400 কোটি থেকে 450 কোটি বছর আগে।
- তখন বাতাসে ছিল মিথেন, অ্যামোনিয়া, কার্বন ডাই অক্সাইড ও জলীয় বাষ্প।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- ওপারিন “দি অরিজিন অফ লাইফ অন আর্থ” বইটি লিখেছিলেন।
- হ্যাল্ডেন “রেশনালিস্ট অ্যানুয়াল” জার্নালে প্রাণের উৎপত্তি নিয়ে মতবাদ প্রকাশ করেছিলেন।
অন্যান্য:
- জীববৈচিত্র্য: বিভিন্ন বাস্তুতন্ত্রে জীবের বিভিন্নতা।
- ট্যাক্সোনমি: জীবের নামকরণ ও শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি।
- দ্বিপদ নামকরণ: গন এবং প্রজাতি নামক দুটি পদের সমন্বয়ে জীবের নামকরণ।
গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক সমুহ