নদী: অধ্যায় থেকে ১ ও ২ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর (WBBSE Class 7, Chapter 5)

নদীর উৎস, মোহনা, গতিপথের বিভিন্ন পর্যায়, ক্ষয়, বহন ও সঞ্চয় কাজ, এবং এর ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ ও মানবজীবনে নদীর গুরুত্ব থেকে ১ ও ২ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর।

নদী কাকে বলে? নদী একটি স্বাভাবিক জলধারা, যা অভিকর্ষের টানে ভূমির ঢাল অনুযায়ী উৎস থেকে মোহনার দিকে প্রবাহিত হয় ।
নদীর উৎস কী ? নদী যেখানে সৃষ্টি হয়, সেই স্থানকে নদীর উৎস বলা হয়, যা সাধারণত পাহাড়-পর্বত বা মালভূমির মতো উঁচু জায়গায় অবস্থিত থাকে ।
নদীর মোহনা কাকে বলে ? যেখানে নদী শেষ হয়, অর্থাৎ নদী সাগর, হ্রদ, জলাশয় বা অন্য নদীতে গিয়ে মেশে, সেই স্থানটিকে নদীর মোহনা বলা হয় ।
ধারণ অববাহিকা কী ? পর্বতের বরফগলা জল বা বৃষ্টির জল অসংখ্য ছোটো জলধারার মাধ্যমে যে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বড়ো নদী তৈরি করে, সেই অঞ্চলটিকে নদীর ধারণ অববাহিকা বলা হয় ।
জলবিভাজিকা বলতে কী বোঝো ? কোনো পাহাড়ের চূড়ার অংশ যা বৃষ্টির জলকে বিভিন্ন দিকে ভাগ করে বা ‘বিভাজন’ করে, সেটিকে জলবিভাজিকা বলা হয় ।
উপনদী কাকে বলে ? উৎস থেকে সৃষ্টি হয়ে যখন কোনো নদী অন্য নদীতে এসে মেশে, তখন তাকে ঐ নদীর উপনদী বলা হয় ।
শাখানদী কাকে বলে ? মূলনদী থেকে যে সমস্ত নদী শাখার মতো বেরিয়ে গিয়ে অন্য কোথাও মেশে, তাদেরকে শাখানদী বলা হয় ।
নদীর উপত্যকা কী ? ‘উৎস’ থেকে ‘মোহনা’ পর্যন্ত যে খাতের মধ্যে দিয়ে নদী প্রবাহিত হয়, তাকে নদীর উপত্যকা বলা হয় ।
নদী অববাহিকা কাকে বলে ? নদী তার উপনদী ও শাখানদী সহ উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত যে অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়, সেই বিস্তীর্ণ ভূমিভাগকে নদী অববাহিকা বলা হয় ।
দোয়াব কাকে বলে ? পাশাপাশি প্রবাহিত দুটো নদীর মধ্যবর্তী স্থানকে দোয়াব বলা হয় ।
অন্তর্বাহিনী নদী কী ? যে নদী কোনো দেশের মধ্যে উৎপন্ন হয়ে সেই দেশের মধ্যেই কোনো হ্রদ বা জলাশয়ে গিয়ে মেশে, তাকে অন্তর্বাহিনী নদী বলে ।
আন্তর্জাতিক নদী কাকে বলে ? যে নদী একাধিক দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়, তাকে আন্তর্জাতিক নদী বলা হয় ।
নদীর তিনটি প্রধান কাজ কী কী ? ক্ষয়কাজ, বহনকাজ ও সঞ্চয়কাজ ।
নদীর শক্তির উপর কী কী বিষয় নির্ভর করে ? নদীতে জলের পরিমাণ, গতিবেগ, ভূমির ঢাল ইত্যাদি থেকে নদী শক্তি সঞ্চয় করে ।
নদীর উচ্চপ্রবাহ কাকে বলে ? উৎস থেকে সমতলভূমিতে নামার আগে পর্যন্ত নদীর প্রবাহকে নদীর উচ্চপ্রবাহ বলা হয়
গিরিখাত কী ? নদীর উচ্চপ্রবাহে সরু ও গভীর নদী উপত্যকা ইংরেজি ‘I’ বা ‘V’ আকৃতির মতো হয়ে থাকে, একে গিরিখাত বলা হয় ।
ক্যানিয়ন কাকে বলে বৃষ্টিহীন পার্বত্য অঞ্চলে, শুষ্ক অঞ্চলে এরকম সুগভীর গিরিখাতকে ক্যানিয়ন বলা হয় ।
জলপ্রপাত কীভাবে সৃষ্টি হয় ? নদীর গতিপথে শক্ত ও নরম পাথর অনুভূমিকভাবে থাকলে, নদী নরম পাথরকে বেশি ক্ষয় করে, ফলে নদী শক্ত পাথরের ওপর থেকে নীচে ঝাঁপিয়ে পড়ে, জলপ্রপাত সৃষ্টি করে ।
নদীর মধ্যপ্রবাহ কাকে বলে ? পার্বত্য অঞ্চলের পর, মালভূমি বা সমভূমি অঞ্চলে নদীর প্রবাহকে নদীর মধ্যপ্রবাহ বলা হয় ।
নদীর মিয়েন্ডার কী ? ভূমির ঢাল কমে যাওয়া এবং জলের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে নদী খুবই আঁকাবাঁকা পথে প্রবাহিত হয়, একে মিয়েন্ডার বলে ।
অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ কীভাবে সৃষ্টি হয় ? নদীর বাঁকের পরিমাণ বাড়লে বা নদীতে জল বাড়লে কখনো কখনো নদী বাঁকের একটি অংশ মূল নদী থেকে আলাদা হয়ে যায়। এই আলাদা হওয়া অংশটি ঘোড়ার খুরের মতো দেখতে হয় বলে একে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ বলা হয় ।
নদীর নিম্নপ্রবাহ কাকে বলে ? উচ্চ ও মধ্যপ্রবাহের পর অত্যন্ত মৃদু ভূমিঢালের ওপর দিয়ে নদী মোহনা পর্যন্ত প্রবাহিত হয়, এটিই নিম্নপ্রবাহ ।
প্লাবনভূমি কী ? নদীর দুই পাশে বিস্তীর্ণ জমিতে বন্যার সময় পলি সঞ্চিত হয়ে উর্বর প্লাবনভূমি (Flood plain) সৃষ্টি করে ।
ব-দ্বীপ কাকে বলে ? নদীর মোহনার কাছে নদীর বহন করা পলি, বালি, কাঁকর জমা হয়ে প্রায় ত্রিভুজের মতো আকৃতির যে ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়, তাকে ব-দ্বীপ বলা হয় ।
খাঁড়ি কী ? কিছু নদীর মোহনায় জোয়ারের সময় নোনা জল নদীতে ঢুকে ফানেলের মতো আকৃতির চওড়া মোহনা বা খাঁড়ি তৈরি করে ।

২ নম্বরের প্রশ্ন

প্রশ্ন উত্তর ।
নিত্যবহ নদী ও অনিত্যবহ নদীর মধ্যে পার্থক্য লেখো? যে সমস্ত নদী উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে সৃষ্টি হয় এবং সারা বছর বরফ-গলা জলে পুষ্ট থাকে, তাদের নিত্যবহ নদী (Perennial river) বলা হয়। অন্যদিকে, মালভূমি বা কম উঁচু জায়গায় সৃষ্টি হওয়া নদীগুলোর জলের উৎস সাধারণত বৃষ্টির জল, যা বর্ষাকাল ছাড়া শুকিয়ে যায়, তাদের অনিত্যবহ নদী (Non-perennial river) বলা হয় ।
নদীর ক্ষয়কাজ, বহনকাজ ও সঞ্চয়কাজ বলতে কী বোঝো? নদী তার জলস্রোতের ধাক্কায় মাটি, বালি, নুড়ি, পাথর চূর্ণ করে এগিয়ে চলে, এটিই ক্ষয়কাজ। এইসব ক্ষয়কৃত পদার্থ নদীর স্রোতের সঙ্গে বয়ে চলে, এটিই বহনকাজ। আবার স্রোত কমে গেলে এসব পদার্থ নদীর পাশে বা মধ্যে জমা হয়, এটিই সঞ্চয়কাজ ।
নদীর শক্তির সঙ্গে নদীর কাজের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো? নদীর শক্তি (জলের পরিমাণ, গতিবেগ, ভূমির ঢাল) বেড়ে গেলে, নদী বেশি করে ক্ষয় আর বহন কাজ করে। আবার নদীর শক্তি কমে গেলে নদী বেশি সঞ্চয় করে, কারণ সে আর বয়ে আনা পদার্থ বহন করতে পারে না ।
নদীর উচ্চপ্রবাহের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো । উচ্চপ্রবাহে ভূমির ঢাল ও বন্ধুরতা খুব বেশি থাকায় নদীর শক্তিও বেশি থাকে, ফলে প্রধান কাজ ক্ষয়। নদীর উপত্যকা সরু ও গভীর (‘V’ বা ‘I’ আকৃতির) হয়, যাকে গিরিখাত বা ক্যানিয়ন বলা হয়। জলপ্রপাতও এই প্রবাহে দেখা যায় এবং উপনদীর সংখ্যা কম থাকে ।
নদীর মধ্যপ্রবাহের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো । মধ্যপ্রবাহে ভূমির ঢাল কম থাকায় নদীর গতি ও শক্তি কমে যায়, ফলে প্রধানত বহন ও সঞ্চয় কাজ করে। নদী নীচের দিকে ক্ষয় করা প্রায় বন্ধ করে দু-পাশের দিকে ক্ষয় করে, ফলে উপত্যকা চওড়া হয়। নদী আঁকাবাঁকা পথে (মিয়েন্ডার) প্রবাহিত হয় এবং চড়া বা নদী-দ্বীপ তৈরি হয়, অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদও দেখা যায় ।
নদীর নিম্নপ্রবাহের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো । নিম্নপ্রবাহে ভূমির ঢাল অত্যন্ত মৃদু হওয়ায় নদীর গতি ও শক্তি প্রায় ফুরিয়ে যায়, ফলে প্রধান কাজ হয় সঞ্চয়। ক্ষয়কাজ একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। এই প্রবাহে উপনদী থাকে না, বরং শাখানদী সৃষ্টি হয়। পলি জমে নদী অগভীর হয়ে বন্যা সৃষ্টি করে এবং উর্বর প্লাবনভূমি ও ব-দ্বীপ তৈরি হয় ।
মানুষের জীবনের সাথে নদীর প্রবাহের তুলনা করো নদীর উচ্চপ্রবাহকে মানুষের ‘যৌবন’ দশার সঙ্গে তুলনা করা যায়, যেখানে নদী দুরন্ত গতিতে প্রবল শক্তি নিয়ে ক্ষয়কাজ করে। মধ্যপ্রবাহকে ‘পরিণত’ দশা বলা যায়, যেখানে নদী ধীর ও শান্তভাবে বহন ও সঞ্চয় করে। আর নিম্নপ্রবাহকে ‘বার্ধক্য’ দশা বলা যায়, যেখানে নদীর শক্তি প্রায় ফুরিয়ে যায় এবং প্রধানত সঞ্চয় কাজ করে মোহনায় শেষ হয় ।
নদী কীভাবে জলচক্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ? নদী জলচক্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ কারণ বৃষ্টির জল নদীর মধ্য দিয়ে সাগরে গিয়ে পড়ে। সাগরের জল বাষ্পীভূত হয়ে মেঘ তৈরি করে এবং বৃষ্টিরূপে আবার নদীতে ফিরে আসে। এভাবে নদী জলকে সাগরে ফিরিয়ে নিয়ে এসে জলচক্রকে সচল রাখে ।
গিরিখাত ও ক্যানিয়নের মধ্যে পার্থক্য কী ? গিরিখাত হলো নদীর উচ্চপ্রবাহে গঠিত সরু ও গভীর ‘V’ বা ‘I’ আকৃতির নদী উপত্যকা। যখন এই গিরিখাত বৃষ্টিহীন বা শুষ্ক অঞ্চলের মধ্যে সুগভীর হয়, তখন তাকে ক্যানিয়ন বলা হয়, যেমন আমেরিকার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন ।
নদীর কোন কোন কাজ ভূমিরূপ পরিবর্তনে সাহায্য করে ? নদীর ক্ষয়কাজ (শিলা চূর্ণ করা), বহনকাজ (ক্ষয়কৃত পদার্থ বয়ে নিয়ে যাওয়া) এবং সঞ্চয়কাজ (পদার্থ জমা করা) এই তিনটি কাজ সম্মিলিতভাবে ভূমিরূপ পরিবর্তনে সাহায্য করে। এই কাজের মাধ্যমে নদী উপত্যকার গভীরতা ও প্রশস্ততা বৃদ্ধি পায়, প্লাবনভূমি ও ব-দ্বীপ গঠিত হয় ।
আমাজন নদীর কেন কোনো ব-দ্বীপ নেই ? সব নদীই মোহনায় ব-দ্বীপ সৃষ্টি করতে পারে না। আমাজন নদীতে পলির পরিমাণ কম থাকায় এবং নদীটি প্রবল বেগে সমুদ্রে পড়ার কারণে বা মোহনায় প্রবল সমুদ্রস্রোত থাকায়, বয়ে আনা পলি সঞ্চিত হওয়ার সুযোগ পায় না, তাই এর কোনো ব-দ্বীপ নেই ।
নদী কীভাবে সভ্যতা বিকাশে ভূমিকা রাখে ? মানুষের প্রাচীন সভ্যতাগুলো (যেমন সিন্ধু সভ্যতা, মিশরীয় সভ্যতা, সুমেরীয় সভ্যতা) কোনো না কোনো নদীর তীরবর্তী উর্বর উপত্যকাতেই গড়ে উঠেছিল। নদী শুধু সভ্যতার জন্মই দেয় না, বরং কৃষিকাজ, পানীয় জল, পরিবহন ও যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে সভ্যতাকে লালনও করে ।
নদীর জল দূষিত হওয়ার কারণ কী ? কৃষি ব্যবস্থার প্রসার, শিল্পায়ন, নগরায়ন, ইত্যাদির কারণে মানুষের কিছু কাজ নদীর স্বাভাবিক ছন্দকে নষ্ট করছে। শহর, শিল্পাঞ্চলের বর্জ্য জল নদীতে অবাধে মিশে গিয়ে নদীর জল ক্রমশ বিষাক্ত হয়ে যাচ্ছে, যা জলদূষণের প্রধান কারণ ।
নদীর পাড়ে কৃত্রিম বাঁধ তৈরির সুফল ও কুফল কী ? বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য নদীর পাড়ে কৃত্রিম বাঁধ তৈরি করলে সাময়িক সুফল পাওয়া গেলেও, দীর্ঘস্থায়ীভাবে তা আরও ভয়াবহ বন্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে। বাঁধের কারণে নদীর স্বাভাবিক পলি প্রবাহে বাধা পড়ে, যা নদীর তলদেশ ভরাট করে এবং ভবিষ্যতে বন্যার ঝুঁকি বাড়ায় ।
সেচের জলের জোগান দিতে গিয়ে নদীর কী ক্ষতি হচ্ছে ? সেচের জলের অতিরিক্ত ব্যবহারের জন্য নদী থেকে মাত্রাতিরিক্ত জল তুলে নেওয়া হচ্ছে, যার ফলে নদী ক্রমশ শুকিয়ে যাচ্ছে। এটি নদীর প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করে এবং অনেক নদীকে অনিত্যবহ নদীতে পরিণত করছে ।
নদীর মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য কীভাবে বজায় থাকে ? নদীর জলচক্রের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে। বৃষ্টির জল নদী দিয়ে সাগরে যায় এবং সাগরের জল বাষ্পীভূত হয়ে বৃষ্টিরূপে আবার নদীতে ফিরে আসে। এছাড়া, নদী অববাহিকায় উদ্ভিদ ও প্রাণীর বিকাশ এবং মাটির নীচের জলের ভারসাম্য রক্ষা করে নদী পরিবেশের বাস্তুতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ ।
নদী কেন আমাদের জীবনকথা ? নদীমাতৃক আমাদের দেশে নদী কেবল ভূগোল, ইতিহাস বা পুরাতত্ত্বের বিষয় নয়, এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে নানাভাবে জড়িয়ে আছে। নদী আমাদের খাদ্য সরবরাহ করে (কৃষি), পানীয় জল দেয়, পরিবহন ব্যবস্থা ও বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। তাই নদীকে আমাদের জীবনকথা বলা হয় ।
গঙ্গা নদীর দূষণের কারণ কী ? গত কয়েক দশকে গঙ্গা নদীর দুই তীরে অসংখ্য কলকারখানা, শহর, নগর ও জনবসতি গড়ে ওঠার ফলে প্রচুর বিষাক্ত আবর্জনা এই নদীর জলে মিশে জলকে দূষিত করেছে। কৃষ্ণা, কাবেরী, গোদাবরী, যমুনা নদীরও একই অবস্থা, যা শিল্প ও মানব বর্জ্যের ফলস্বরূপ ।
নদীর মধ্যপ্রবাহে কীভাবে নদী-দ্বীপ তৈরি হয় ? মধ্যপ্রবাহে নদীর গতিবেগ ও শক্তি কমে যাওয়ায় বয়ে আনা পলি, বালি, নুড়ি, কাঁকর নদীর মধ্যে বা দু-ধারে জমা হতে থাকে, যা চড়া সৃষ্টি করে। এই চড়াগুলির আকার বড়ো হলে জল প্রবাহের পথ আটকায় এবং নদীর মাঝখানে ভূমিরূপ তৈরি হয়, যা নদী-দ্বীপ নামে পরিচিত ।
জলপ্রপাত কীভাবে ভূমিরূপ পরিবর্তনে সাহায্য করে ? জলপ্রপাত সৃষ্টির সময় নদী শক্ত পাথরের ওপর থেকে নীচে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং নরম পাথরকে বেশি ক্ষয় করে। এই ক্রমাগত ক্ষয়ের ফলে নদী উপত্যকার উল্লম্ব ক্ষয় বৃদ্ধি পায় এবং কঠিন ও নরম শিলার মধ্যে ধাপের সৃষ্টি করে, যা ভূমিরূপের উচ্চতার পার্থক্য তৈরি করে ।

Leave a Comment

Ask