WBBSE এর ভূগোল অর্থাৎ আমাদের পৃথিবী বইটির প্রথম অধ্যায় হল -‘পৃথিবীর অন্দরমহল’ । এই অধ্যায়টির মুল বিষয়বস্তু সংক্ষেপে দেওয়া হল। সঙ্গে উল্লেখ করা আছে ক্যুইজ ও অন্যান্য প্রশ্ন উত্তর পর্ব ।
পৃথিবীর ভেতরে কী আছে?
আমরা পৃথিবীর উপরেই বাস করি, তাই তার ভেতরে কী আছে তা জানতে আমাদের কৌতূহল হওয়া স্বাভাবিক। এই পাঠে আমরা পৃথিবীর অভ্যন্তর সম্পর্কে জানব।
পৃথিবী কেমন?
- পৃথিবী একটি বিশাল আকারের অভিগত গোলক।
- এর ভেতরটা অনেক গরম।
- ভেতরে যত যাব তাপমাত্রা তত বাড়বে এবং এর পরিমাপ প্রতি ৩৩ মিটারে ১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড ।
- ভেতরে চাপও অনেক বেশি।
পৃথিবীর স্তর বিভাজন
পৃথিবীর ভেতরকে আমরা তিনটি প্রধান স্তরে ভাগ করতে পারি:
ভূত্বক: এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বাইরের স্তর। আমরা যা দেখি, যার উপর দিয়ে চলি, তা সবই ভূত্বকের অংশ। এটি পাথর আর মাটি দিয়ে তৈরি।
গুরুমণ্ডল: ভূত্বকের নিচে এই স্তরটি রয়েছে। এটি অনেক গরম এবং আংশিকভাবে গলে যাওয়া শিলা দিয়ে তৈরি।
কেন্দ্রমণ্ডল: পৃথিবীর সবচেয়ে ভেতরের স্তর। এটি অত্যন্ত গরম এবং লোহা আর নিকেল দিয়ে তৈরি।
আমরা কীভাবে জানি পৃথিবীর ভেতর কেমন?
পৃথিবীর ভেতর কি আছে তা কৌতূহল প্রবন মানুষেরা জানতে চাই। ভূ- বিজ্ঞানীরা নিরন্তর গবেষণা করছেন তা জানার জন্য।
গর্ত খোঁড়া: আমরা পৃথিবীতে গর্ত খুঁড়ে দেখতে পারি না, কারণ এটি খুব গভীর।
ভূকম্প: ভূমিকম্পের সময় যে তরঙ্গ তৈরি হয়, সেই তরঙ্গ পৃথিবীর ভেতরে দিয়ে যায়। এই তরঙ্গের গতি দেখে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর ভেতর সম্পর্কে অনেক তথ্য পান।
আগ্নেয়গিরি: আগ্নেয়গিরি থেকে যে লাভা বের হয়, সেটি পৃথিবীর ভেতর থেকে আসে। লাভা পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর ভেতর সম্পর্কে অনেক জানতে পারেন।
পৃথিবীর ভেতর গরম কেন ?
পৃথিবী তৈরি হওয়ার সময় অনেক গরম ছিল।
পৃথিবীর ভেতরে রেডিওএক্টিভ পদার্থ আছে, যা তাপ উৎপন্ন করে।
পৃথিবীর ভেতরের তাপ কি কাজে লাগে?
ভূ-তাপ শক্তি: পৃথিবীর ভেতরের তাপ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
উষ্ণ- প্রস্রবণ: পৃথিবীর ভেতরের তাপের কারণে উয় প্রস্রবণ থেকে গরম জল বের হয়।
মজার তথ্য:
পৃথিবীর কেন্দ্রমণ্ডল অনেক গরম যে, এটি সূর্যের পৃষ্ঠের তাপমাত্রার সমান!
পৃথিবীর ভেতরের চাপ এত বেশি যে, এটি লোহাকেও গলিয়ে বাষ্পীভূত করতে পারে।
আমরা কেন পৃথিবীর ভেতর সম্পর্কে জানতে চাই?
ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরি ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে জানতে।
খনিজ সম্পদ খুঁজে পেতে।
পৃথিবীর ইতিহাস জানতে।
আরো জানতে জুল ভার্নের ‘Journey to the Centre of the Earth’ বইটি পড়তে পারো।
মনে রাখবে, পৃথিবীর ভেতর সম্পর্কে আমরা এখনও অনেক কিছু জানি না। বিজ্ঞানীরা প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য আবিষ্কার করছেন।